সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার। অবারিত শান্তি বর্ষিত হোক প্রিয়নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর প্রতি।
কুরআন ও সুন্নাহর নুসূস (মূলপাঠ) আত্মস্থ করা ছাড়া বিজ্ঞ আলেম হওয়া সম্ভব নয়। এজন্য হিফযুল কুরআনকে মাদরাসাতুস সুন্নাহর সিলেবাসের মৌলিক পাঠ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা হিফযুল কুরআনের পাশাপাশি নিয়মিত সিলেবাস সম্পন্ন করবে। তবে কুরআনুল কারীমের হিফয স্মরণশক্তির ওপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার স্মরণশক্তির অনুপাতে হিফয করবে। স্মরণশক্তির তারতম্য অনুযায়ী কেউ পুরো কুরআনের হিফয সম্পন্ন করবে, আবার কেউ ২০ পারা, কেউ ১০ পারা সম্পন্ন করবে। তবে অন্তত ৫ পারা হিফয সম্পন্ন করা সবার জন্য বাধ্যতামূলক থাকবে।
আরও দেখুন
যুগচ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতনতা ও ইফেক্টিভ দাওয়াহর জন্য ভাষা-দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য মাদরাসাতুস সুন্নাহ শিক্ষার্থীদেরকে ভাষা-দক্ষ বিজ্ঞ আলেম হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। সেজন্য আরবি, ইংরেজি ও বাংলা বিষয়সমূহ স্ব স্ব ভাষায় পাঠদান করা হবে। নিয়মিত ক্লাসের পাশাপাশি লেঙ্গুয়েজ ক্লাবের মাধ্যমে ভাষাচর্চার ব্যবস্থা থাকবে। এই ক্লাবে কথন-শ্রবণসহ ব্যবহারিকভাবে ভাষাচর্চা করিয়ে শিক্ষার্থীদের আরবি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ করে তোলা হবে। ফলে আমাদের শিক্ষার্থীরা কুরআন-হাদীসের ইলমকে কুরআন-হাদীসের ভাষায় আত্মস্থ করে মাতৃভাষা বাংলাসহ আরবি ও ইংরেজি ভাষায় প্রচার করতে এবং সর্বোপরি তিন ভাষায় সার্বিক দক্ষতা অর্জন করতে পারবে ইন-শা-আল্লাহ।
আরও দেখুন
ইসলামের মৌলিক শিক্ষাসমূহের অন্যতম হলো অর্জিত জ্ঞান অনুযায়ী আমলি জীবন গড়ে তোলা, শিষ্টাচার ও মূল্যবোধ লালন করা। দুঃখজনকভাবে এ বিষয়গুলো সমাজ থেকে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যাতে শুরু থেকেই আমলি ও শিষ্টাচারসম্পন্ন হতে পারে, যেন ইসলামের চিরন্তন মূল্যবোধ বাস্তবজীবনে প্রয়োগ করতে পারে, সর্বোপরি তাকওয়াসম্পন্ন হতে পারে- সে বিষয়কে বিবেচনায় রেখে মাদরাসাতুস সুন্নাহর পাঠদান-পদ্ধতিসহ সামগ্রিক পরিবেশ সাজানো হয়েছে।
আরও দেখুন
একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং চারিত্রিক মানোন্নয়ন শিক্ষক-অভিভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ব্যতীত সম্ভব নয়। তাই মাদরাসাতুস সুন্নাহ কিছু দিন অন্তর অন্তর শিক্ষক-অভিভাবক মতবিনিময় সভা ও নাসীহা প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকে। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান তত্বাবধায়ক শায়খ আহমাদুল্লাহ (হাফিজাহুল্লাহ) অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে নাসীহা পেশ করেন এবং তাদের সাথে মতবিনিময় করে থাকেন।
আরও দেখুন
সন্তান মা-বাবার নিকট আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আমানত। শিশুর প্রথম পাঠশালা হচ্ছে মায়ের কোল। এখানে সে জীবনের অনেক কিছু শেখে। পরবর্তীতে এটাই তার অভ্যাসে পরিণত হয়। এজন্য ইসলামে এই পাঠশালার অনেক গুরুত দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে দীন শিক্ষা দেওয়া এবং একজন ঈমানদার মানুষ হিসাবে গড়ে তোলা মা-বাবা ও অভিভাবকের এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।
আরও দেখুন
মাদ্রাসা তৈরি করা (ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়)
দক্ষ এবং কর্মশীল আলেম, ওলামা তৈরি করা
ইসলামিক লাইব্রেরী তৈরি করা দেশের প্রত্যেকটি স্তরে
মাদরাসার নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা
শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে মাদরাসাতুস সুন্নাহর রয়েছে ৪টি নিজস্ব বাস। মাদরাসার এই বাসগুলো তিনটি রুটের (আফতাবনগর গেইট, উত্তর বাড্ডা ও নতুন বাজার) বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে শিক্ষার্থীদেরকে আনা-নেওয়া করে থাকে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রয়োজন সাপেক্ষে বাসের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করা হবে, ইন-শা-আল্লাহ।
আবাসিক ছাত্রাবাস
দেশের বিভিন্ন পধান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুবিধার্থে মাদরাসাতুস সুন্নাহর রয়েছে সীমিত আকারে আবাসিক ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা, নৈতিক মানোন্নয়ন, রুচিসম্মত খাবার পরিবেশন এবং তাদেরকে মনোরম পরিবেশে রাখার জন্য মাদরাসাতুস সুন্নাহর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যহত আছে। মাদরাসার এই আবাসিক ব্যবস্থা শুধু দ্বিতীয় বা তদূর্ধ্ব শ্রেণির ছেলে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।
স্কলারশিপের সুযোগ
গরীব ও এতিম মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সম্পূর্ণ স্কলারশিপের সুযোগ। কোনো শিক্ষার্থী মেধাবী এবং যাকাতের হকদার হয়ে থাকলে অভিভাবকের ঐকান্তিক আগ্রহের ভিত্তিতে তার যাবতীয় ব্যয়ভার আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন যাকাত তহবিল থেকে বহন করে থাকে আলহামদুলিল্লাহ। এই সুযোগ সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।
একই পিতা-মাতার একাধিক সন্তানের জন্য সুবিধা
একই বাবা-মায়ের দুই সন্তান মাদরাসাতুস সুন্নাহতে ভর্তি হলে দ্বিতীয়জনের জন্য ভর্তি এবং টিউশন ফি অর্ধেক।